শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
নলছিটির ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় (পর্ব-১) বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতে বাংলা নববর্ষ বরন রুপাতলী বাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধে ছাত্রদলের প্রচারণা   বরিশালে ওয়ারেন্ট ভুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে আসামী ধরতে গিয়ে বিপাকে পুলিশ তৃণমূলের যুব উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ণের বাতিঘর আরিফুর রহমান শুভ সাংবাদিক এম জাহিদের মায়ের দাফন সম্পন্ন বরিশালে চরকাউয়া মাঝিমাল্লা সমিতির উদ্যোগে শ্রমিকদের মাঝে ঈদবস্ত্র প্রদান বরিশালে এ.কে স্কুলের সভাপতি মামুন’কে এনামুল ও মিরাজের শুভেচ্ছা বরিশালের একে স্কুলের এডহক কমিটি সভাপতি আজিজুর রহমান মামুন বোরহানউদ্দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইন্টিফিক উপকরণ বিতরণ
নলছিটির সুজাবাদে মুন ব্রিকসে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, বিপন্ন পরিবেশ

নলছিটির সুজাবাদে মুন ব্রিকসে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, বিপন্ন পরিবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: নলছিটি উপজেলার ২ নং মগড় ইউনিয়নের সুগন্ধা নদীর তীরে সুজাবাদ গ্ৰামে ইটভাটায় মানছে না ইট তৈরি ও ভাটা স্থাপন আইন। ইচ্ছেমতো আবাসিক, কৃষি জমি ও পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে মুন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। আর এই ইটভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে মূল্যবান বনজ ও ফলদ গাছ। ভাটার ধূলা, কালো ধোঁয়া ও আগুনের তাপে ধ্বংস হচ্ছে নিকটবর্তী এলাকার সবুজ মাঠ, বনজ সম্পদ ও ফলদ গাছ।

সূত্র বলছে, ইটের ভাটা দিতে হলে পরিবেশ বিভাগের ছাড়পত্র, কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র, বিএসটিআই ইত্যাদি যাবতীয় অনুমোদন নিতে হয়।ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুযায়ী বিনা লাইসেন্সে কেউ ইট তৈরি করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে তিনি অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৯-এর তথ্য থেকে জানা যায়, আবাদি জমিতে কোনো ইটভাটা তৈরি করা যাবে না। কিন্তু এর কিছুই মানছেন মুন ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটার মালিকপক্ষ ।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, ইটভাটার চারপাশে শত শত মণ কাঠ সাজানো। গাড়িতে করে গাছ কেটে এনে কাঠ পরিমাপ করা হচ্ছে প্রকাশ্যে ভাটার সামনে। ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে গাছের গুড়ি পোড়ানো হচ্ছে।

 

স্থানীয়রা জানান, এই মুন ব্রিকস ইটভাটায় প্রতিদিন শত শত মণ কাঠ কিনে প্রকাশ্যেই পোড়ানো হচ্ছে। উজার হচ্ছে এলাকার গাছপালা। পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। অদৃশ্য কারনে কেউ দেখছে না। প্রশাসন রয়েছে নীরব। প্রশাসনের কেউ কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। কোনো প্রকার অনুমোদন ও নিয়মনীতির ধার ধারছেন না ভাটা মালিক।

 

তারা আরো জানান,যারা সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে ভাটায় ইট তৈরিতে গাছ পোড়াচ্ছে আর এসব কাঠ সরবরাহে শত শত গাছ কাটা হচ্ছে। এভাবে ইটভাটা চলমান থাকলে আগামী কয়েক বছরে এলাকায় গাছ বলতে কিছু থাকবে না। গাছ না থাকলে পশু-পাখি ও কীট-পতঙ্গ হুমকিতে পড়বে, নষ্ট হবে পরিবেশের ভারসাম্য। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে জানতে চাইলে, নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, গাছ পোড়ানোর বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে সব ভাটায় অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এ বিষয়ে ইটভাটার মালিক সাদ্দাম হোসেন ও মেশকাত জানান, ইটভাটায় কয়লা পোড়ানোর নিয়ম থাকলেও ফিক্সড (ড্রাম) চিমনি ব্যবহারের কারণে গাছ পোড়াচ্ছেন। সংবাদ প্রকাশ করলেও আমার ইটভাটার কিছুই হবেনা।

 

অপরদিকে বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ,এইচ,এম রাশেদ জানান,অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন ...




© All rights reserved DailyAjkerSundarban