সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
নলছিটির দপদপিয়ায় বিএনপি নেতা রিমনের চাদাঁবাজী-দখল বানিজ্যে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ : বহিস্কার দাবী সাবেক আইজিপি শহীদুল হক-আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার-রাজাপুর সার্কেলের বদলীজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা বরিশাল জেলা বাস-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নে ৮ পদে রদবদল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতার পাশে বিএনপি নেতা জাহিদ বরিশাল জেলা মটরযান মেকানিক ইউনিয়নের এগারো সদস্যের পদত্যাগ  নলছিটি পৌরসভায় বরখাস্তকারী তিন কর্মচারী জোরপূর্বক কাজ করছেন চোখের দৃষ্টি হারানোর পথে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আসাদুজ্জামান এর চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তা নলছিটিতে বৃদ্ধের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট বরিশালের জাগুয়া ইউনিয়নে শান্তি বজায়ে চেয়ারম্যান আজাদীর উদ্যোগে সমন্বয়ক কমিটি গঠন
বরিশাল নগরীতে ঈদ মৌসুমে মাহিন্দ্রা-অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি

বরিশাল নগরীতে ঈদ মৌসুমে মাহিন্দ্রা-অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশাল সদর নৌ-বন্দরে ‘ঈদ উপলক্ষ্যে’ মাহিন্দ্রা-অটোরিকশা পার্কিং ও সিরিয়ালের নামে লাখ লাখ টাকা চাদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ভাটারখাল এলাকার সুমন ওরফে (কইতর সুমন) ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

জানাযায়, ঈদ উপলক্ষ্যে গত রবিবার (৮ এপ্রিল) রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের স্পেশাল লঞ্চ আসতে শুরু হয়। রাতে ঘরমুখো যাত্রীরা লঞ্চথেকে নেমে বাড়ি যাওয়ার জন্য মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজি ব্যবহার করেন। এজন্য আগে থেকেই এই পরিবহনগুলো টার্মিনাল পার্কিং পয়েন্ট থেকে শুরু করে সমস্থ রাস্তায় সিরিয়াল দেয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপত অসাধু ব্যক্তিরা ওই পরিবহনগুলোর কাছ থেকে সিরিয়ালের নামে চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএনজি ড্রাইভার জানান, অনেক ভিড় হয় লঞ্চ আসলে তাই যাত্রী আগে পাওয়ার জন্য লঞ্চঘাট পার্কিং পয়েন্টে সিরিয়াল দিতে আসি।কিন্ত এখানে এসে দেখি সিরিয়ালের জন্য ৮০ টাকা দিতে হয়। একটা ট্রিপ নিয়ে গেলে আর কয় টাকা লাভ হয়? এতো খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হয়ে গেল!।

আরেক হলুদ অটো ড্রাইভার বলেন, সিরিয়ালের নামে সুমন ভাইয়ের লোকজন এসে ৩০ টাকা নিয়ে গেছে। এখনতো দেখি যাত্রী নাই টাহাডা পুরাই লস।

খোজ নিয়ে যানাযায়, এই সুমন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চঘাট এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ অনেক পরিবহনের ড্রাইভাররা। কিছুদিন আগে সুমনের চাদাবাজির বিরুদ্ধে ড্রাইভাররা মানববন্ধনও করেছিলেন।তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানাযায়।

বরিশাল বি আই ডব্লিউ টি এর উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান,বরিশাল নৌবন্দরের এরিয়াতে অটো,মাহেন্দ্র, সিএনজি পাকিংএ টাকা নেয়ার বিষটি আমার জানা নেই। যদি কেউ নিয়ে থাকে তা সম্পূর্ণ অবৈধ আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিব।

বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির জানান, বরিশাল লঞ্চঘাটে গাড়ি থেকে চাঁদা উঠানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টির সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন ...




© All rights reserved DailyAjkerSundarban